ঢাকা,রোববার, ৫ মে ২০২৪

অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে মাঠে নামছে সেনাবাহিনী

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্রগ্রাম ::  চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন খাল ও নালা দখল করে যেসব অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠেছে সেগুলো উচ্ছেদে অভিযান শুরু করবে সেনাবাহিনী। জলাবদ্ধতা নিরসনে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের আওতায় এ উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালিত হবে বলে জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভীর মাজহার সিদ্দিকী। তিনি বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে যেসব কাজ রয়েছে সেগুলো করবো। দখলদার উচ্ছেদ তারই অংশ। আমরা চাই প্রকল্পটি সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হোক এবং চট্টগ্রামবাসী সুফল পাক।
তিনি ‘চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল পুন:খনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্প’র মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন। গতকাল সকালে নগরীর দামপাড়াস্থ সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময় সভায় সিডিএর গৃহীত মেগাপ্রকল্পটির বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। এতে জানানো হয়, প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন খাল ও নালা-নর্দমা থেকে ২০১৮ সালে এক কোটি ২৫ লক্ষ ৮৮ হাজার সিএফটি এবং চলতি বছর এ পর্যন্ত ৪২ লক্ষ সিএফটি ‘স্ল্যাজ’ অপসারণ করা হয়েছে। সভায় জানানো হয়, প্রকল্পের অধীনে ৩৬টি খাল খনন করা হবে। তিন পর্যায়ে নগরের খালগুলো খনন ও সংস্কার করা হচ্ছে। প্রথম দফায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ১৩টি খালের খনন কাজ চলছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১০টি এবং শেষ পর্যায়ে বাকি খালগুলো থেকে মাটি উত্তোলন করা হবে। মতবিনিময় সভায় পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে প্রকল্পের বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করেন ভারপ্রাপ্ত প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল আবু সাদাত মোহাম্মদ তানভীর।
এদিকে মতবিনিময় সভায় প্রকল্পের সুফল পাওয়ার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সমন্বয়, জনসচেতনতা তৈরি, খালের মুখে বাঁধ অপসারণ, ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম গঠন, খাল-নালায় ময়লা ফেললে শাস্তির আওতায় আনা এবং বিভিন্ন ব্রিজ-কার্লভাটের নিচে বিদ্যমান সেবা সংস্থাগুলোর বিভিন্ন ‘ইউটিলিটি সার্ভিস’ অপসারণের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে ৫ হাজার ৬১৬ কোটি ৪৯ লাখ ৯০ হাজার টাকায় গৃহীত সিডিএ’র প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে সেনাবাহিনী।
অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ : অবৈধ দখলদার উচ্ছেদের ঘোষণা দিয়ে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভীর মাজহার সিদ্দিকী বলেন, খাল এবং ড্রেনের বড় অংশ অবৈধ দখল হয়ে আছে। অবৈধ দখলের ব্যাপারেও আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি। অতিদ্রুত সিডিএ, সিটি কর্পোরেশন, স্থানীয় প্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসনের সাহায্যে খালগুলো অবৈধ দখলমুক্ত করার জন্য কাজ শুরু করবো। তিনি বলেন, গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে গত সপ্তাহে একটি মিটিং হয়েছিল। মন্ত্রী মহোদয় নির্দেশনা দিয়েছেন, অবৈধ স্থাপনে উচ্ছেদে রমজান মাসেই অভিযান শুরু করে দিতে। এ বিষয়টা নিয়ে আমরা স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, সিডিএ এবং সিটি কর্পোরেশনের সাথে এ সপ্তাহে বসবো।
কাউন্সিলরদের সম্পৃক্ত করা : জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলরদের সম্পৃক্ত করা হচ্ছে। এ বিষয়ে সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভীর মাজহার সিদ্দিকী বলেন, সামনে বর্ষা মৌসুম। জনদুর্ভোগ যত কমিয়ে আনা যায় এবং জলাবদ্ধতার প্রকোপ যত কমিয়ে আনা যায় সে বিষয়টাকে মাথা রেখে চট্টগ্রামের সকল স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সম্প্রতি পৃথক চারটি বৈঠক করেছি। জলাবদ্ধতা নিরসনে তাদের স্ব স্ব ওয়ার্ডের পরিকল্পনাগুলো আমাদের কাছে দ্রুত পাঠাতে আমরা তাদের অনুরোধ করেছি। তারা সিটি কর্পোরেশনের মাধ্যমে পাঠাবেন বলেছেন। আমাদের মাঠ পর্যায়ের যারা কর্মী আছেন তারা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন এবং কাছে যাবেন এবং তাদের মাধ্যমে জলাবদ্ধতা নিরসনের যে কাজগুলো হচ্ছে সেটা নিশ্চিত করবেন।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভীর মাজহার সিদ্দিকী বলেন, সাতদিনের মধ্যে পরিকল্পনাগুলো আমাদের কাছে পাঠাবেন বলেছিলেন কাউন্সিলরগণ। আমরা কিন্তু সাতদিনের জন্য অপেক্ষা করিনি। বরং আমাদের ৮টি টিম ওনাদের সাথে গিয়েছেন এবং সরেজমিনে ড্রেনগুলো পরিদর্শন করেছেন।
তিনি বলেন, কাউন্সিলরগণ এলাকায় থাকেন। এলাকার সমস্যা সম্পর্কে তারা অনেক বেশি ওয়াকিবহাল। সুতরাং ওনাদের তত্ত্বাবধানে কাজ করবো। তিনি বলেন, আমাদের হাতে আছে মাত্র একমাস। এই সময়ের মধ্যে যে ড্রেনগুলো এখনো পরিষ্কার করা হয় নি সেগুলো ওনাদের মাধ্যমে পরিষ্কারের ব্যবস্থা করবো। যাতে জলাবদ্ধতার প্রকোপটা কমে।
ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম : আগামী বর্ষা মৌসুমে কোথাও জলাবদ্ধতা দেখা দিলে তা নিরসনে ‘ইমর্াজেন্সি রেসপন্স টিম’ গঠন করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভীর মাজহার সিদ্দিকী বলেন, বর্ষা মৌসুমে কোথাও কোন কারণে জলাবদ্ধতা হলে, সেটা আশু নিরসনকল্পে ‘ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম’ করেছি। যাতে কোন ওয়ার্ডেই জলাবদ্ধতার পরিস্থিতি তৈরি হলে সাথে সাথে এই টিমটা রেসপন্স করতে পারে। যেখানে যেখানে ময়লা আর্বজনার জন্য পানি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হবে সেটা পরিষ্কার করে দিতে পারে।
জনসচেতনতা : জনসচেতনতা বৃদ্ধির উপর জোর দিয়ে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভীর মাজহার সিদ্দিকী তিনি বলেন, জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা এখানে অপরিহার্য। কারণ, ময়লা-আবর্জনা বা গৃহস্থলী আর্বজনা প্রতিনিয়ত ড্রেনে ফেলে তাহলে সেগুলো পরিষ্কার রাখা কঠিন।
তিনি বলেন, অচিরেই চারটি জোনে মেয়র মহোদয়সহ সমন্বয় করে মতবিনিময় সভা করবো। সচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে র‌্যালির আয়োজন করা হবে। এসময় তিনি জনসচেতা তৈরিতে গণমাধ্যমের সহযোগিতা কামনা করে বলেন, জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে গণমাধ্যমের চেয়ে শক্তিশালী কোন মাধ্যম নেই।
খালে ময়লা ফেললে শাস্তি : নগরবাসীকে বার বার অনুরোধের পরেও খাল-নালায় ময়লা-আর্বজনা ফেলার প্রবণতা বন্ধ হচ্ছে না। এ প্রবণতা রোধে তাই শাস্তির আওতায় আনার সুপারিশ করেন মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণকারীদের অনেকেই। এ প্রসঙ্গে সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের মহাপরিচালক বলেন, কাউন্সিলরদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায়ও এ প্রস্তাব এসেছিল। এনফোর্সমেন্টের বিষয়ে আমরা সিটি কর্পোরেশন ও স্থানীয় প্রশাসনের সাথে বসবো। এনফোর্সমেন্ট না হলে শুধু মুখের কথাই এ সমস্যা দূর করা সম্ভব না।
জলাবদ্ধতার কারণ : নগরীতে জলাবদ্ধতার কারণ সম্পর্কে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভীর মাজহার সিদ্দিকী বলেন, জলাবদ্ধতার জন্য আমরা দুটো কারণ চিহ্নিত করেছি। একটি হচ্ছে, বৃষ্টিতে যে পানিগুলো শহরের মধ্যে জমা হয় তা ড্রেনগুলো ভরাট হওয়ার কারণে তা নিষ্কাশনের ব্যবস্থা থাকে না। অর্থাৎ বৃষ্টি হলে সাথে সাথে পানিগুলো সরে যাওয়ার ব্যবস্থাটা অপর্যাপ্ত। তিনি বলেন, এখানে ৫৫টি খাল আছে। এরমধ্যে ৪০টি মেইন, যেগুলো দিয়ে জোয়ারের পানি শহরে প্রবেশ করে। সুতরাং যতক্ষণ পর্যন্ত না এই জোয়ারের পানি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো এবং শহরের ভেতরের অতিরিক্ত পানিটা পাম্প করে বাইরে পাঠিয়ে দিতে পারবো ততক্ষণ পর্যন্ত এই জলাবদ্ধতা সমস্যার স্থায়ী সমাধান দুরুহ হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম শহরের জোয়ারের পানি নিয়ন্ত্রণে সরকার প্রকল্প গ্রহণ করেছে এবং ৪০টি রেগুলেটর অনুমোদন দিয়েছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ৫টি, সিডিএ ১২টি এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড ২৩টি রেগুলেটর নির্মাণ করবে। এসব রেগুলেটর নির্মাণ কাজ শেষ হলে জোয়ারের পানি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে এবং জলাবদ্ধতা সমস্যার স্থায়ী সমাধান করা যাবে। একইসঙ্গে শহরের ভেতর যে খালগুলো আছে সেগুলো খনন করে যদি ডিজাইন অনুযায়ী রিটেইনিং ওয়াল করে দেয়া যায়, তাহলে বৃষ্টির কারণে শহরের ভেতর যে পানি জমে সেটা দ্রুত নিষ্কাশন করা যাবে।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভীর মাজহার সিদ্দিকী বলেন, শহরের ভেতর যে ড্রেনগুলো আছে সেগুলোর কানেকটিভিটি নাই। সেকারণে ড্রেনেজ সিস্টেমটা কমপ্লিট করা প্রয়োজন। তিনি বলেন, শহরের বিভিন্ন স্থানে ড্রেনেজ কানেকটিভিটিটা অসম্পন্ন হয়ে আছে। এঙিসটিং যে ড্রেনগুলো আছে সেগুলো ভরাট হয়ে গিয়েছে ময়লা-আবর্জনা সিলট্রেশনের কারণে। প্রকল্পের ডিপিপি রিভাইস করলে শহরের আরো ২২টি খালকে সেখানে সম্পৃক্ত করা হবে বলেও জানান তিনি।
বাঁধ অপসারণ : প্রকল্পের কাজের সুবিধার্থে ইতোমধ্যে বিভিন্ন খালের মুখে বাঁধ দেয়া হয়েছে। তবে বর্ষার আগে সেগুলো খুলে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভীর মাজহার সিদ্দিকী। তিনি বলেন, কোন অবস্থাতেই বাঁধ রাখা যাবে না। বর্ষা মৌসুমে কোথাও বাঁধ দেখলে আমাদের সাথে সাথে জানাবেন। আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিব।
ইউটিলিটি সার্ভিস : নগরীর বিভিন্ন ব্রিজ-কালভার্টের নিচে গ্যাস-ওয়াসাসহ বিভিন্ন সেবাসংস্থার পাইপলাইন গেছে। ময়লা-আর্বজনা এসব পাইপ লাইনের সঙ্গে আটকে যায়। খালগুলো অপরিষ্কার থাকার এটাও একটা কারণ। তাই এসব ইউটিলিটি সার্ভিস সরিয়ে নেয়ার উপর জোর দিচ্ছে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা সেনবাহিনী।
এ প্রসঙ্গে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভীর মাজহার সিদ্দিকী বলেন, শহরের অনেকগুলো ব্রিজ-কালভার্টের নিচে বিভিন্ন সংস্থার ইউটিলিটি সার্ভিসগুলো গেছে। তাদের সঙ্গে আমরা সমন্বয় করেছি এবং চিঠিও দিয়েছি। ওনারাও বলেছেন, অতিদ্রুত ইউটিলিটি সার্ভিসগুলো সরিয়ে নিবেন। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত কর্ণফুলী গ্যাস লিমিটেডের ডেপুটি ম্যানেজার প্রকৌশলী মীর মাহমুদ হাসান বলেন, ব্রিজ-কার্লভাটের নিচে যে লাইন আছে সেরকম ১০/১২ পয়েন্টে অপসারণ করে ফেলেছি। আরো কিছু কাজ চলমান আছে।
চট্টগ্রাম ওয়াসার নির্বাহী প্রকৌশলী রানা চৌধুরী বলেন, ব্রিজ-কালভার্টের নিচে যে পাইপলাইনগুলো আছে সেগুলো অপসারণে কাজ শুরু করেছি।
অন্যান্য : সভায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, টারশিয়ারি ও সেকেন্ডারি সিস্টেমগুলো পরিষ্কার রাখা প্রয়োজন। কিন্তু দেখা যায় কোন না কোন কারণে সংযোগস্থল ব্লক থাকে বর্জ্য নিক্ষেপের জন্য। তিনি বলেন, আমাদের পরিচ্ছন্ন বিভাগ সেনাবাহিনীর সঙ্গে কাজ করছে। নালা থেকে আমাদের পরিচ্ছন্ন বিভাগ নিয়মিত ময়লা অপসারণ করছে। তিনি বলেন, ৩৬টি খাল আছে, সেগুলো পরিষ্কার রাখা হলে জলাবদ্ধতার প্রকোপ তেমন থাকবে না। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন, কর্ণফুলী নদী নিয়মিত ড্রেজিং না করলে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের পুরোপুরি সুফল মিলবে না। তিনি বলেন, দখল হওয়া খালগুলো উদ্ধার করতে হবে। ইমিডিয়েটলি খাল উদ্ধারে নামতে হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী মো. আরিফুর রহমান বলেন, চট্টগ্রাম মহানগরীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ, জলমগ্নতা/ জলাবদ্ধতা নিরসন ও নিষ্কাশন উন্নয়ন’ শীর্ষক আমাদের প্রকল্প আছে। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি এটা একনেকে অনুমোদন পেয়েছে। আগামী সাত থেকে ১০ দিনের মধ্যে জি.ও অনুমোদন হবে।
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের নির্বাহী সদস্য কাজী আবুল মনসুর বলেন, খালপাড়ে যে ভবন গড়ে উঠেছে সেটার অনুমোদন দিয়েছে সিডিএ। সিডিএ কি সেটা পর্যবেক্ষণ করে? তিনি বলেন, খাল বা নালা-নর্দমায় ময়লা-আর্বজনা যারা ফেলেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। খালপাড়ের যে বাসিন্দা বা দোকানদার তাকেই প্রথমেই জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক নাজিম উদ্দিন শ্যামল, ড. আবদুল ওয়াজেদ, ভূঁইয়া নজরুল প্রমুখ।

পাঠকের মতামত: